অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিতের হার বাড়ছে। তারপরও অনেকেই আছেন ইংরেজি রায় বোঝেন না। এজন্য আমি চাই মামলার রায় ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও লেখা হোক। এতে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ জানতে পারবে সে কি রায় পেলো। আর এজন্য তহবিলের প্রয়োজন হলেও সে ব্যবস্থা করা হবে বলেন জানান তিনি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কেবল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই নয়, সেই সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাতেও অঙ্গীকারবদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার। বিচার পাওয়ার অধিকার সব মানুষের আছে আর সেটিই নিশ্চিত করতে চায় সরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ’৮১ সালে দেশের ফেরার পর আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিলো না। বিচার পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। রেহানার পাসপোর্ট দেয়নি। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ। সেটা রিনিউ করে দেয়নি। আমাদেরও কিন্তু বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। বিচার চাইতে পারিনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নিলাম। কিন্তু সেখানেও বাধা আসলো। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার জন্য সংসদে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তাতে বাধা দেওয়া হলো। বিষয়টা হাইকোর্টে নেওয়া হল। অবশেষে বিচার কাজ শেষ হল, রায় প্রকাশের দিন বিএনপি হরতাল ডাকল যাতে বিচারক কোর্টে যেতে না পারেন। কোর্টে যেতে বাধাও দেওয়া হল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জুন ২০২০ পর্যন্ত দেশে বিভিন্ন আদালতে ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯০৮টি মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দেওয়ার উপায় বের করার জন্য আমি সব বিচারক ও আইনজীবীদের অনুরোধ জানাচ্ছি, এত মামলা যেন এভাবে জমে না থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায় সে ব্যাপারে একটু আন্তরিক হবেন ও ব্যবস্থা নেবেন। এর জন্য যদি কোনো রকম সহযোগিতা প্রয়োজন হয় সেটা আমরা সরকারের পক্ষ থেকে করবো। এতগুলো মামলা এভাবে পড়ে থাকুক সেটা আমরা চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে, অল্প খরচে ভোগান্তিমুক্ত বিচার প্রাপ্তিটা মানুষের অধিকার। যদি দ্রুত সময়ে, অল্প খরচে বিচারকাজ শেষ করতে পারেন তাহলে বিচার বিভাগের ওপরই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়বে। যদিও আমাদের আস্থা-বিশ্বাস আছে, তারপরও আমি বলবো এ বিষয়ে সবাইকে একটু বিশেষ নজর দিতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে- আমরা যেহেতু আইন সভার সদস্য, সরকার হিসেবে আমাদের যা দায়িত্ব সে দায়িত্বও আমরা সব সময় পালন করতে প্রস্তুত। যেন দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পায়, দেশের মানুষ ভালো থাকে, স্বস্তিতে থাকে, শান্তিতে থাকে, নিরাপদে থাকে, উন্নত জীবন পায়।’
অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু ধর্ষণের মত অপরাধ দমনে অধ্যাদেশ জারি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমরা কেবিনেটে পাশের মাধ্যমে আইনে পরিণত করেছি। এরপর সংসদে এটা আইন হিসেবে পাশ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা