অনলাইন ডেস্ক
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পরই বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে এসব খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। রাজধানীতে সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর গণপরিবহনে চড়ে অফিসে আসতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে। এছাড়া রাজধানী থেকে ছেড়ে গেছে দূর পাল্লার বেশ কয়েকটি ট্রেন। গতকাল সন্ধ্যার পর অনেকেই অনলাইন থেকে টিকেট ক্রয় করেছেন। তবে অনেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে গিয়ে টিকেট না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। এক সিট ফাঁকা রেখেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল চালু হওয়ায় খুশি পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রাত থেকেই বাস-লঞ্চ ও ট্রেন টার্মিনালে কর্মীদের কর্ম ব্যস্ততা শুরু হয়। সেই সঙ্গে খুশি সাধারণ মানুষও। অনেক দিন পর বাড়িতে যেতে পারছেন তারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। টিকিটের দাম ৬০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্টারসহ অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকেই সদরঘাটে লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। কাউন্টার থেকেও শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রি। ইতোমধ্যে ছেড়ে গেছে বেশ কয়েকটি জেলার লঞ্চ।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর এর মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহার চাঁদ দেখায়, সাধারণ মানুষের ঈদ উদযাপনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয় সরকার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা