ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাব কমে স্বাভাবিক হওয়ায় সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সারাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সবধরনের নৌযান চলাচল করবে।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিাইডব্লিউটিএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে নৌ চলাচাল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। সেইসঙ্গে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় ছিল।
আর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উল্লেখ্য, শনিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর থেকে দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে আট জেলায় ঘর ও গাছচাপা পড়ে নারীসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক গাছ উপড়ে পড়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা