আমার গ্রামের বাড়ির ছাদ বাগানের টবে রক্ষিত এই যষ্টিমধুর গাছটিতে এবার প্রথম ফুল ফুটেছে। নাম শুনে অনেকে মনে করেন যষ্টিমধু হয়তো মধুর মতই হবে,কিন্তু না। যষ্টিমধু একটি গাছের শিকড়। এটি বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায় বিশেষ করে মুদি/বেনেতি দোকান গুলোতে। যষ্টিমধু নামকরণ করা হয়েছে তার কারণ এই গাছের শিকড় অনেকটা মধুর মত মিষ্টি। যষ্টিমধুতে রয়েছে মানব দেহের জন্য অনেক উপকারীতা যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক যষ্টিমধুর উপকারিতা।
– বাচ্চাদের কণ্ঠস্বর ভেঙে গেলে যষ্টিমধু পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি পান করালে কণ্ঠস্বর ফিরে পাবে।
– অনেকের দেখা যায় কথাতে জড়তা আছে মানে তোতলা তাদের জন্য যষ্টিমধু খুবই উপকারী। নিয়মিত যষ্টিমধু চিবিয়ে রস খেলে কথার জড়তা বা তোললা সেরে যাবে।
– যাদের মুখে দূর্গন্ধ হয় এবং দাঁতে পাথর জমে গেছে তারা যষ্টিমধু দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের পাথর ও দূর্গন্ধ দূর হবে।
– স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে যষ্টি মধু কার্যকরী। এজন্য রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে যষ্টিমধুর গুড়ো মিশিয়ে পান করুন।
– এছাড়াও যষ্টিমধুর গুড়ো খাঁটি ঘি দিয়ে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ ও চর্মরোগ দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে।
– যাদের বুকে কফ জমে থাকে ও খুসখুস কাশি হয় তারা চায়ের সাথে যষ্টিমধু মিশিয়ে পান করুন। এতে বুকের কফ ও কাশি সেরে যাবে।
– যাদের লিভারে সমস্যা আছে আর সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যষ্টিমধুর রস পান করতে পারেন।
– অনেক বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা যষ্টিমধু খেয়ে থাকে তার একটাই কারণ কণ্ঠস্বর ভালো রাখার জন্য।
– তাছাড়া যষ্টিমধু প্রাচীন যুগ থেকে চুলের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত যষ্টিমধু ও আমলকি মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে খুসকি ও চুল পড়া বন্ধ হবে।
মো. আলী আশরাফ খান, লেখক : মহাব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত) বিসিক।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা