অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটি তার দখলে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন ঠিক ২০০ রান। এরপর করেছেন আরও দুইটি। অথচ বাংলাদেশের একটির বেশি ডাবল সেঞ্চুরি নেই অন্য কারও। টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ ২১৯ রানের রেকর্ডটাও মুশফিকেরই দখলে।
সতীর্থ খেলোয়াড় তামিম ইকবাল বলছিলেন, বাংলাদেশের যেকোন তরুণের উচিৎ পরিশ্রমের দিক দিয়ে মুশফিকুর রহীমকে অনুসরণ। নিজের পারফরম্যান্সের উন্নতির জন্য প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
দলের ঐচ্ছিক বা রুটিন অনুশীলনে অন্য সবার চেয়ে বেশি সিরিয়াস মুশফিক, তিনি মাঠে আসেন সবার আগে এবং যথারীতি বের হন সবার পরে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটে ব্যাটিং না করলে যেন সবকিছু ঠিক মনে হয় না মুশফিকের। পরিশ্রম এবং ডেডিকেশনের দিক থেকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি নন তিনি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুশফিকের পথচলার শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। বাংলাদেশ দলের ২০০৫ সালের সফরে তার অভিষেকের সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। তবে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সে দরজা খুলে নেন মুশফিক। ফলে তার ব্যাপারে পুনরায় ভাবতে বসে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
অবশেষে ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই অভিষেক করানো হয় ১৮ বছর বয়সী মুশফিককে। নিজের অভিষেক ম্যাচে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৫৬ বল মোকাবিলায় করেন ১৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হন ৩ রান করে।
তবে সেদিন যে বাংলাদেশ ক্রিকেট শুরু হয়েছিল একটি ‘মুশফিক অধ্যায়’ এর, তা চলছে এখনও। কঠোর অধ্যবসায় ও তার চেয়ে বেশি পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে পরিণত করেছেন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানে, হয়েছেন বাংলাদেশ দলের নির্ভরতার প্রতীক। ফলে তাকে ডাকা হয় ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ নামেও।
সাদা পোশাকের এই ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত ৭০ ম্যাচ খেলে ৩৬.৭৭ গড়ে করেছেন ৪৪১৩ রান। তিন ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়াও শতরান করে ব্যাট উঁচিয়েছেন আরও ৪ বার। এছাড়া তার ব্যাট থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস এসেছে মোট ২১টি।
ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলে ফেলেছেন ২১৮টি ম্যাচ। একদিনের ক্রিকেটেও এখনও পর্যন্ত হাঁকিয়েছেন টেস্টের সমান ৭টি সেঞ্চুরি। তবে আরও দুইবার তিনি আউট হয়েছেন ৯৮ ও ৯৯ রানে। সবমিলিয়ে ৩৬.৩১ গড়ে করেছেন ৬১৭৪ রান, ফিফটি মোট ৩৮টি।
কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে সে তুলনায় খানিক নিষ্প্রভই বলা যায় মুশফিকের ব্যাটকে। এখনও পর্যন্ত ৮৬ ম্যাচে ২০.০৩ গড়ে করেছেন ১২৮২ রান, নামের পাশে রয়েছে মাত্র ৫টি ফিফটি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফিতে করা ৭২ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
দেশের ক্রিকেটে গত এক যুগের সকল উত্থানপতনের সাক্ষী তিনি। শুধু তাই নয়, মুশফিকের ব্যাট ধরেই অনেক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। সকলের প্রত্যাশা আরও বেশ কয়েকবছর জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়ে যাবেন এ নির্ভরতার প্রতীক। তার জন্মদিনে জাগোনিউজের পক্ষ থেকে সেই শুভকামনাই থাকবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা