বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আজান দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে এ আজান শুনা যায়।
চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নীলফামারী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মসজিদ আর ঘরের জানালা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে এ আজান দেন এলাকাবাসী। নগর ও গ্রামের অনেক জায়গাতেই আজান দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের আহ্বানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একত্রিত হয়ে এই সম্মিলিত আজানের আয়োজন করা হয়। যদিও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না ইসলামিক ফাউন্ডেশনের।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা, পশ্চিম মাদারবাড়ি, মোগলটুলী, কাটা বটগাছ এলাকা, আগ্রাবাদ, হাজীপাড়া, চৌহমুনী ও কর্ণফুলীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতে আজান শোনা যায় বলে অনেকে জানিয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে পোস্ট দেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জের বাহুবল ও নবীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাস ও ভূমিকম্পের গুজব রটানো হয়েছে।
এই গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ আজান দিয়েছেন সাথে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মিছিল আবার কেউ উলুধ্বনি আর সাথে কীর্তন।
শ্রীমঙ্গলে মধ্যরাত থেকে ভূমিকম্পের গুজবে শুরু হয় কীর্তন উলুধ্বনি সেই সাথে আজান এবং আজানের পরপর অনেকে মিলে মিছিলও দিয়েছেন কিছু এলাকায়।
হবিগঞ্জে শহরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শ্যামলী, গোসাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে রাত ১১টার দিকে আজান দেওয়া হয়েছে। আজানের ধ্বনি শুনে তারা চমকে ওঠেন।
এমন আজান নিয়ে দেশের বিশিষ্ট আলেমদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, পুরো আয়োজনটিই ফেসবুক নির্ভর। অজ্ঞাত উৎস থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে এটি ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কয়েকজন নেতা রাত ১০টায় একযোগে আজানের প্রস্তাব করলে ফেসবুকের মাধ্যমে এটি অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে এই আজান। তবে এতে কোনো ইসলামী দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা