অনলাইন ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ মানুষ নিজেদের দেশ ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে ভূমধ্যসাগরের বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিচ্ছে। এ সময় বহু মানুষ সাগরে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছে। তারপরেও সাগরপথে জনস্রোত কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে ঢোকার অন্যতম প্রধান পথ ইতালিতে মাঝের কিছু সময় জনস্রোত কিছুটা কমলেও চলতি বছর আবারও তা বাড়তে শুরু করেছে।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইতালিতে প্রায় ১৯ হাজার ৮শ অভিবাসনপ্রত্যাশী পৌঁছেছে। গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭শ’র সামান্য বেশি।
মঙ্গলবার রাতে চারটি নৌকায় করে আরও প্রায় ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী লাম্পেদুসা দ্বীপে নেমেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইতালির কোস্ট গার্ড ও ফাইন্যান্স পুলিশের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কয়েকদিন আগেই ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় বাংলাদেশিসহ ১৭৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। রোববার তিউনিসিয়া উপকূল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ওই সময় উদ্ধার করা হয়েছে দুজনের মরদেহ। উদ্ধারদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। যারা নৌকায় অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করছিলেন। উদ্ধার হওয়া অন্যরা ছিল ইরিত্রিয়া, মিসর, মালি ও আইভরি কোস্টের নাগরিক।
ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা নৌকায় ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাচ্ছিল। পথে তাদের নৌকা ভেঙে যায় এবং সেটি ডুবে যেতে থাকে। পরে সংকেত পেয়ে তিউনিসিয়া নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।
এর আগে গত ২৫ জুন ভূমধ্যসাগরে ভাসমান অবস্থা থেকে ২৬৪ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তিউনিসিয়া কোস্টগার্ড জানায়, ২৬৪ বাংলাদেশি ও তিন মিসরীয় নাগরিকসহ ২৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী একটি নৌকায় অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যেতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে নৌকাটি বিকল হয়ে গেলে বিপদে পড়েন তারা।
এরপর এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বেন গুয়েরদেন বন্দরে পৌঁছাতে সাহায্য করে দেশটির নৌবাহিনী। পরে তাদের আইওএম এবং রেড ক্রিসেন্টের হাতে তুলে দেয়া হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের পথে যাত্রা করে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা ৭০ ভাগ বেশি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা