অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
তিনি বলেন, ‘সেখানে সুষ্ঠুভাবে কোরবানির পশু জবাই ও সবার মাঝে ভাগ করে দিতে মংচিংনু মারমা নামে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও সেখানে পাঠানো হয়েছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাড়ে চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পরিবারের কোরবানির জন্য ২২০টি গরুর চাহিদা থাকলেও তিনটি এনজিও সংস্থা এরই মধ্যে ২৩৫টি গরু সরবরাহ করেছে ভাসানচরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে।
বর্তমানে ৩৮টি ক্লাস্টারে অবস্থান করছে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো। তাই কোরবানি শেষে দ্রুত মাংস বণ্টনের জন্য ১০টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের কাছে কমপক্ষে দুই কেজি করে কোরবানির মাংস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
ভাসানচর আশ্রয়ণের প্রকল্পের পরিচালক কমডোর রাশেদ সাত্তার বলেন, ‘কোরবানি ঈদের আনন্দ যেমন আমরা সারাদেশে করব, তারাও যেন সেই আনন্দের অংশীদার হতে পারে সেই বিবেচনায় এটা করা হয়েছে।’
শরণার্থীবিষয়ক কমিশন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ডাটাবেস করেছি। প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পশু কোরবানির পর প্রতিটি ঘরে ঘরে মাংস পৌঁছে দেয়ার কাজ করবে এ কমিটির সদস্যরা।’
পশু কোরবানির আগে ভাসানচরের ওয়্যার হাউসে ঈদুল আজহার দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতরেও এখানে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা ছিল একসময়ের এ জনমানবহীন চরে প্রথম কোনো ঈদের জামাত।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা