অনলাইন ডেস্ক
১০টি চুক্তি-সমঝোতা স্বাক্ষর হওয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। চুক্তিগুলোতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে।
এই আন্দোলন ভারত নয়, সরকারের বিরুদ্ধে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভারতের কাছ থেকে দাবি আদায়ে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। তিস্তার পানি আমাদের সবচেয়ে আগে দরকার। কিন্তু তিস্তা প্রকল্পে কাজ করতে চায় সরকার। কারণ প্রকল্প হলে অনেক টাকা। চুক্তিগুলো দেশের স্বার্থবিরোধী হওয়ায় বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করছে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে আমরা ২৮ জুন সংবাদ সম্মেলন করব। প্রয়োজনে কর্মসূচি দেব।
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ফখরুল বলেন, মমতা ব্যানার্জী পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, পশ্চিম বাংলাকে বাদ দিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তি করা যাবে না, তারা দেবে না। এ জন্য আপনাকে তো অবশ্যই চাপ প্রয়োগ করা দরকার। ফারাক্কায় যতটুকু পানি পাওয়া গেছে, সেটা আন্দোলনের ফলেই হয়েছে। ফারাক্কার ইস্যুটি জাতিসংঘেও তোলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার অভিন্ন নদী-তিস্তার পানির হিস্যার বিষয় জাতিসংঘে উত্থাপন করেনি। আমরা অভিন্ন নদীর পানি পাচ্ছি না। কোটি কোটি মানুষ পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-তিস্তা নদীর অববাহিকায় বাস করে। তাদের জীবন-জীবিকা সবকিছু নির্ভর করে এ নদীগুলোর ওপর। অথচ চুক্তিতে এসব নদীর হিস্যার ব্যাপারে কোনো কথাই নাই। আসলে এ সরকার দেশপ্রেমিক নয়, বাংলাদেশবিরোধী একটা সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা ‘চিকেনস নেক’টাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে করিডর করায় আমাদের লাভ কী? পুরো লাভ ভারতের। এটা ভারতবিরোধী নয়। আমাদের প্রশ্ন দেশের স্বার্থে। দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কানেক্টিভিটি হবে না, নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাদ দিয়ে কোনো চুক্তি হবে না।
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনি অভিন্ন নদীর পানির ব্যাপারে কোনো কিছুই করছেন না। সীমান্তে মানুষ হত্যা করছে, কিছুই বলছেন না। কিন্তু আপনি চুক্তি করছেন, সেখানে এসব বিষয়ে একটা কথাও নাই। ভারতকে সকল প্রকার সুবিধা দিলেও আপনি বাংলাদেশের স্বার্থ আদায়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা