ঢাকায় আফগানিস্তানের কাছে প্রথম লেগের ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে।
তবে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সাকিবের কাঁধে চড়েই আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাও প্রায় ৫ বছর ও টানা ৪ ম্যাচ হারের পর। সবশেষে ২০১৪ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের র্যাংকিং সাত, আর বাংলাদেশ দশ। কিছুটা হলেও আফগানরা টাইগারদের চেয়ে এগিয়ে।
গত ৫ বছরে দুই দল কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে আরও ৪ বার। প্রতিবারই শেষ হাসি ছিলো রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীদের ঠোটে। শনিবার সেই ধারা ভেঙে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন সাকিব। বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে খেলেছেন ৪৫ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস। সঙ্গত কারণেই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কারও।
তবে ব্যক্তিগত সন্তুষ্টির চেয়ে দলের জয়টাই যেন বেশি প্রশান্তি এনে দিচ্ছে সাকিবের মনে। বিশেষ করে ‘ অপ্রতিরোধ্য’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে এমন জয় ফাইনালের আগে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন সাকিব। তাই তো এ জয়টিকে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘ বড় জয়’ হিসেবে।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই বড় জয়। আপনি যদি শেষ কয়েক মাসের কথা চিন্তা করেন, আমরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একদমই ভালো করতে পারছিলাম না। ফলে আমাদের উন্নতির প্রয়োজন ছিলো। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে ফাইনাল ম্যাচের জন্য ঢাকায় ফিরবে দুই দল। আগামী মঙ্গলবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত হবে ত্রিদেশীয় সিরিজের চ্যাম্পিয়ন দল। সে ম্যাচের জন্য এ জয়টি অনুপ্রেরণা ও সাহস জোগাবে বলেই বিশ্বাস টাইগার অধিনায়কের।
তিনি বলেন, ‘ফাইনালে নামার আগে এ জয়টি আমাদের অনেক অনুপ্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। আমরা জানি মিরপুরে খেলা ভিন্ন হবে। নতুন দিন, নতুন পরিস্থিতি, কিছুই হয়তো আজকের মতো হবে না। তাই আফগানিস্তানকে হারানোর জন্য আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে।’
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা