বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বাসদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কমরেড হামিদুল হক এক বিবৃতিতে বিদ্যুতের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের ভুলনীতি-দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই আজ বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। যা জনগণের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে প্রভাব পড়ে সর্বত্র। নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম, বাড়ী ভাড়া, গাড়ী ভাড়া বেড়ে যাবে। এতে করে জনগণের জীবন জীবিকা চরম সংকটে পড়বে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রের নামে বেসরকারি ব্যক্তি মালিকদের মুনাফার উদ্দেশ্যে লুণ্ঠনের এক অভয়ারন্য তৈরি হয়েছে। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কোন বিদ্যুৎ না কিনলেও ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা তাদেরকে দিতে হচ্ছে। ফলে এই লুটপাটের দায় জনগণ কেন নেবে? বিবৃতিতে অবিলম্বে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। একই সাথে মূল্যবৃদ্ধির এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা