দেশের শীর্ষস্থানীয় আরও দশটি তৈরি পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক লাখ কর্মী এখন থেকে বিকাশ একাউন্টে বেতন পাবেন।
এ নিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোষাক শিল্পের ২৬০টি প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ লাখ কর্মী বিকাশের ডিজিটাল স্যালারি ডিজবার্সমেন্ট সেবা গ্রহণ করলেন।
সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের এই সেবার সঙ্গে যুক্ত হওয়া নতুন দশটি প্রতিষ্ঠান হল-নিউ এশিয়া গ্রুপ, শাইনেস্ট গ্রুপ, ইভিন্স গ্রুপ, নিউ এজ গ্রুপ, ডেবোনিয়ার গ্রুপ, তামিশনা গ্রুপ, মাহদীন গ্রুপ, ভিশন গ্রুপ, সাঙ্গু গ্রুপ এবং বেস্ট শার্টস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে কেক কেটে এই যাত্রার উদ্বোধন করা হয় বলে বিকাশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ, নিউ এশিয়া গ্রুপের ডিরেক্টর আমের সেলিম, শাইনেস্ট গ্রুপের ডিরেক্টর আব্দুল হালিম খান, ইভিন্স গ্রুপের ডিরেক্টর শাহ আদিব চৌধুরী, নিউ এজ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডেবোনিয়ার গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজম খান, তামিশনা গ্রুপের ডিরেক্টর নাওয়ীদ আলম চৌধুরী, মাহদীন গ্রুপের হেড অব ফিন্যান্স অ্যান্ড একাউন্টস জাফর আলী সেখ, ভিশন গ্রুপের ডিরেক্টর সারাহ হামিদ, সাঙ্গু গ্রুপের ডিরেক্টর মাহির মান্নান এবং বেস্ট শার্টস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মইন উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচলিত পদ্ধতিতে কর্মীদের বেতন পরিশোধ ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এবং একই সঙ্গে বেতনের দিনে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার বিপরীতে বিকাশের মত সহজ, ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা দ্রুতই পোষাক শিল্পের মালিক এবং কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
“শুধু সহজে বেতন পাওয়াই নয়, কর্মীরা বেতন পাওয়ার সাথে সাথে বিকাশ অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য বিকাশ একাউন্টে পাঠানো, মোবাইলের এয়ারটাইম কেনা, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করা কিংবা বিভিন্ন দোকানে পেমেন্ট করাসহ নানান সেবা নিতে পারছেন।”
এছাড়া সারাদেশের দুই লাখের বেশি বিকাশ এজেন্টের যে কোন পয়েন্ট থেকে প্রয়োজনে ক্যাশ আউটও করতে পারছেন। এমনকি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রেখে স্বল্পমাত্রায় মুনাফাও অর্জন করতে পারছেন।
কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই সহজে এবং সঠিক ভাবে অ্যাকাউন্টে বেতন পাওয়া এবং তা ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বিকাশের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
বিকাশের এই ডিজিটাল স্যালারি ডিজবার্সমেন্ট সেবাটি বৃহত্তর অর্থে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর আর্থিক অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করে বিকাশ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা