অনলাইন ডেস্ক
বিএনপি ও তার সহযোগিরা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যেতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও দৈনিক ভোরের আকাশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত সরকার যারা নতুন করে নির্বাচিত হয়ে আসবে, তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে-এটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। বিএনপি ও তাদের সহযোগিরা বলছে এসব মানি না। তার মানে সংবিধানিক বিধি-বিধান তারা মানে না। তারা যা কিছু বলছে, এটা সংবিধানের বিধি-বিধান পরিপন্থী। দেশের সংবিধান অনুযায়ী অসাংবিধানিক কিছু করলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের এ কৃতকর্ম রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের শামিল।
তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের সহযোগিরা আগুন দিয়ে, পেট্রোল দিয়ে, রাস্তাঘাট ধ্বংস করে যে ইমেজ সংকটে পড়েছিল সে ইমেজ সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে আবার তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার এবং সাংবিধানিক পন্থায় যারা ক্ষমতায় আছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজনীতির সঠিক পথে না থাকলে একসময় মাইক্রোস্কোপ দিয়ে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের নামে বাংলাদেশকে পেট্রোলের বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোট। দেশের মানুষ তা ভুলে যায়নি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন প্রতিহত করার নামে পাঁচ হাজারের ঊর্ধ্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ধ্বংস করা। কিন্তু তারা সেটা করতে পারে নি, দেশে অসাংবিধানিক সরকার আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এখনও তাদের লক্ষ্য সেটা।
বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, অসংবিধানিক পন্থায় অথবা গণদুশমনে পরিণত হতে পারে এমন জনবিমুখ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে এক সময় অস্তিত্বের সংকট দেখা দিতে পারে। রাজনীতিতে কেউ ভুল করলে তার সঙ্গে মানুষ চিরদিন থাকে না। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাতে আস্থা স্থাপন করেছে। কারণ মানুষের মৌলিক অধিকার শেখ হাসিনা নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ও দৈনিক ভোরের আকাশের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষালের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।