অনলাইন ডেস্ক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন। গত দুই সপ্তাহে বহু আবাদি জমি, বাড়িঘর, মসজিদ-মন্দির এবং ভাঙন রক্ষার বাঁধের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খাঁ, রামহরি, চতুরা, পাড়া মৌলা, চর বিদ্যানন্দ গ্রাম এবং ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম, খিতাব খাাঁ, বড়দরগা মাজার, বুড়িরহাট এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত দুই সপ্তাহে বাড়িঘর, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দিরসহ শত একর আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৫টি গ্রামসহ তিস্তা তীরের দুই শতাধিক বাড়ি।
স্থায়ীভাবে তিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণসহ ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
তবে ভাঙন থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কুড়িগ্রামে তিস্তাসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।