অনলাইন ডেস্ক
এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের স্থান নির্বাচনের জন্য বুধবার সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ আসেন রেলমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের সয়দাবাদ স্টেশন ও সেতু গোল চত্বর এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে যে রেল লাইন রয়েছে সেটি সিঙ্গেল লাইনের। এই লাইনে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালানো যায় না। ফলে অনেক সময় নষ্ট হয়। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়।’
তিনি বলেন, ‘জাপানের জাইকার অর্থায়নে ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন রেল সেতুটির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। নতুন রেল সেতুতে ডাবল লাইন রাখা হয়েছে। একসঙ্গে দুই দিক থেকে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। রেল সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সেতুর ওপর দিয়ে দ্রুত গতিতে রেল যোগাযোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ আরও সহজ হবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটবে।
এ সময় সদর আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলমসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর ৩শ’ গজ উত্তরে (উজানে) নতুন রেল সেতুটি নির্মাণ হবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও সংশোধিত প্রকল্পে সময়সীমা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। যদিও ডাবল লাইন হওয়ায় সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৬০ কিলোমিটার বিবেচনা করছে রেলওয়ে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা