অনলাইন ডেস্ক
এসব সুযোগসন্ধানী সিন্ডিকেটের সদস্যকে খুঁজে বের করতে এবার যৌথভাবে মাঠে নামছে সরকারের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বাজার মনিটরিংয়ে এরা নিয়মিত কাজ করবে। তবে এবার বাড়তি কিছু দায়িত্ব দিয়ে তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের সম্পর্কে ইতোমধ্যেই তাদের হাতে বিভিন্ন তথ্য এসেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বাজারে আরও ব্যাপকভাবে খোঁজ নেবে। তাদের সংগ্রহ করা সেসব তথ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছাবে। সংশ্লিষ্ট মহল এসব তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শুধু পেঁয়াজ নয়, সব নিত্যপণ্যের মজুত পরিস্থিতি দেখতে বাজারে নামছে দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে একাধিক টিম। এসব টিম পণ্যের মজুত, চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবে। এ সময় তারা পণ্যের দাম ও মান যাচাই করবে। এজন্যে ব্যবসায়ীদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন মহল পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে মজুতদারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন। তাদের ধারণা, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। এ তথ্য যাচাই করতে অন্তত ২২৭ পেঁয়াজ আমদানিকারকের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং ও পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত সভা করা হয়। এসব সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও ব্যবসায়ীরাসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকেন।
এসব সভায় উপস্থিত থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বাজার মনিটরিং ছাড়াও ব্যবসায়ীদের সচেতনতামূলক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাও দেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা