অনলাইন ডেস্ক
মাসটাঙ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ এএফপিকে জানান, সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকির কারণে কড়া পুলিশি প্রহরায় শুরু হয়েছে চলতি বছরের পোলিও টিকাদান কর্মসূচী। শুক্রবার জেলার মেয়েদের একটি স্কুলের কাছে ছিল এই কর্মসূচী। টিকাদান চলাকালেই বোমা হামলা ঘটেছে সেখানে।
মাসটাঙ পুলিশের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবদুল ফাতাহ বলেন, “টিকাদান কর্মসূচীর স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল এ হামলা। তবে তাদের কেউ নিহত বা আহত হননি। নিহত ৭ জনের মধ্যে মধ্যে ৫ জন শিশু, একজন অভিভাবক এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।”
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “শিশুদেরকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো চরম নিষ্ঠুরতার প্রকাশ।”
কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এ পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি। বেলুচিস্তান পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কি না, তা ও জানা যায়নি।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়াতে পোলিও টিকাদান কর্মসূচির স্বাস্থ্যকর্মীদের পাহারার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালানো হয়েছিল। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন তারা।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসী হামলায় জর্জরিত হচ্ছে পাকিস্তান, তবে ২০২১ সালে তালেবান বাহিনী প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর হামলার হার দেশটিতে বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পোলিও বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এখনও দু’টি দেশে টিকে রয়েছে শিশুদের এই ভয়াবহ রোগটি। দেশে দু’টির নাম পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা