অনলাইন ডেস্ক
পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলাধীন বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকল্পের উদ্যোগী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাপাউবোর মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ বলেন, প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পদ্মা নদীর বাম তীর রক্ষা করা হবে। পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদীশাসনের আওতায় তীর রক্ষার কাজ হচ্ছে। তারপরও পদ্মাসেতু প্রকল্পের যে এলাকা নিয়ে একটু ভয় ছিল বা আনট্রাস্ট ছিল সেটাও নিরাপদ হবে। পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকাসহ পুরো এলাকায় নিরাপদ করতেই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টংগিবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত। পদ্মা নদীর বাম তীরের ভাঙন হতে এ সকল এলাকা রক্ষার্থে প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাপাউবো একটি কারিগরি কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহ হচ্ছে, সাড়ে ৮ কিলোমিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ ও পুনর্বাসন কাজ। এছাড়া প্রায় এক কিলোমিটার চর অপসারণের জন্য ড্রেজিং করা হবে।
প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, নদী তীর সংরক্ষণ ও বাঁধ পুনর্বাসন এবং নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন, জানমাল ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি রোধ এবং সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, যার সাথে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা