অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে তা আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিকভাবে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। যদিও এই সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবি বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ২ হাজার ৩৯৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ৩২৭ কোটি ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৭১ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ররপ্তানি হয়েছে হোম টেক্সটাইল পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৮৩ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৭৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
মূলত, পশ্চিমা অর্থনীতি করোনা মহামারির দুরবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে বিভিন্ন পণ্যের, বিশেষত পোশাক উপকরণের রফতানি বাড়ছে। ফলে প্রায় প্রতি মাসেই রপ্তানি আয়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা