অনলাইন ডেস্ক
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি হবে। বাংলাদেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে, অংশগ্রহণকারীরা আরো সৃজনশীল হতে সহযোগিতা করবে এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তাদের কথা শুনে অংশগ্রহণকারীরা আরো সৃজনশীল মনোভাব বৃদ্ধি করতে পারবে, যা ভবিষ্যতে তাদের যুগান্তকারী ধারণাগুলিকে আরো কার্যকর সমাধানে রূপান্তর করতে সক্ষম করবে।
আয়োজনটি স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইউএনডিপি-এর বাংলাদেশ শাখার হেড অব কমিউনিকেশনস মোঃ আব্দুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘ক্রিয়েটর অ্যাক্সিলারেটর প্রোগ্রামটি তরুণ উদ্ভাবকদের আরো অনুপ্রাণিত করবে। অংশগ্রহণকারীরা এমন একটি পরিবেশে নিজেকে নিমজ্জিত করার মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীল ভাবনাকে আরো উৎসাহিত করতে পারবে এবং তাদের যথার্থ পরিবর্তনের জন্য উক্ত প্রোগ্রামটি কার্যকর জ্ঞান প্রদান করবে। ভবিষ্যত গঠনের জন্য আয়োজনটি উদ্ভাবনের বিভিন্ন দিক এবং প্রযুক্তির রূপান্তরকারী শক্তির অনুসন্ধান করবে বলে আশা করি।’
নাট্য ব্যক্তিত্ব সুমন পাটোয়ারী বলেন, তরুণ উদ্ভাবকরাই পারেন স্মার্ট সমাজ তৈরি করতে। দেশের তরুণদের মধ্যে অনেক সৃজনশীলতা লক্ষ্য করি। বর্তমান সময়ে হাজার হাজার তরুণ কনটেন্ট তৈরি বা উদ্ভাবন করে বিশেষ নজর কাড়ছেন। তাদেরকে উৎসাহিত করা আমাদের কাজ। শুধু একটা মোবাইল দিয়েই সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট তৈরি করতে পারছেন। এই ধরনের আয়োজন নিঃসন্দেহে তাদের আরও উৎসাহিত করবে, নির্দেশনা দেবে এবং স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করবে। এরাই একসময় স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিচ্ছ্ববি হবে আশা রাখি।
এসময় সামাজিক সমস্যাকে সামনে রেখে কনটেন্ট নির্মাণে ফটোগ্রাফির গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন বিশিষ্ট ফটোগ্রাফার ব্যক্তিত্ব সাইফুল হক অমি। তিনি বলেন, ‘একটা ছবি হাজারও গল্প বলতে পারে। আমাদের আশ-পাশের ছোটছোট অসঙ্গতির গল্পগুলো ছবির লেন্সে ধারণ করে তুলে ধরে সমাজ পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
সবারই মানসিক দিকের গুরুত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করে মনের বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদা শিরোপা বলেন, স্মার্ট সিটিজেনের প্রধান বিষয় হলো- নাগরিক নিজেই নিজেদের সমাধান হবেন। ‘আমিই সমাধান’ হবে লক্ষ্য। তা সামনে রেখে সবাইকে নিজের ও আশেপাশে মানুষের মানসিক সমস্যার সমাধানে কাজ করতে হবে।
এই আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এই দেশজুড়ে তরুণ উদ্ভাবক ও কনটেন্ট নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে একটি কনটেন্ট নির্মাণ প্রতিযোগিতা ক্যাম্পেইন আয়োজন করার ঘোষণা দেয় ইউএনডিপি ও এটুআই। তিনমাস ব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে উদীয়মান কনটেন্ট নির্মাতারা এসডিজির ওপরে কনটেন্ট তৈরি করবেন। বিজ্ঞ বিচারকদের ভোটে সেরা ১০ নির্মাতাকে পুরস্কৃত করবে ইউএনডিপি ও এটুআই।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে এটুআই-এর ই-কমার্স ইম্প্লিমেন্টেশন এক্সপার্ট তৌফিক আহমেদ, সাইবার ৭১ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম হোসাইন, ও এটুআই-এর স্ট্র্যাটেজি কমিউনিকেশনস-এর পরামর্শক আশফাক জামান, ক্যাস্টওয়ে অন দ্য মুন (সিওটিএম) এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা শাহ জালাল আলিফ ও আরিফা শবনম সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা