ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার প্রাণ গেছে সাতজনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন বলে জানানো হয়েছে। বাইরের কেউ যেন দিল্লিতে প্রবেশ করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন কেজরিওয়াল।
ইতোমধ্যে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নিহতদের দুই লাখ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লির যে এলাকাগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে সেসব এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লিতে সহিংসতায় বুধবার প্রথমবারের মতো সেখানে ‘শান্তির বার্তা’ ছড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তিনি বলেন, ‘শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনাই বিষয়। আমি আমার দিল্লির ভাই ও বোনদের, সবসময় শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো জরুরি।’
দিল্লির ঘটনায় কড়া নিন্দার মুখে পড়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মোদির প্রধান সহযোগী বলে পরিচিত অমিত শাহ। অমিত শাহের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি তার পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন।
দিল্লি সংহিসতার সূচনা গত রোববার থেকে, মোদি সরকারের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের প্রথমদিন সোমবার থেকেই ভয়াবহ রূপ নেয় এই বিক্ষোভ।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা