অনলাইন ডেস্ক
বছরের পর বছর মহাজনের কাছে দাদন নিয়ে চলে জেলেদের সংসার, ঋণ পরিশোধ করতে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফেরেন তারা। সাগর নদীতে মাছ ধরা ৯০ শতাংশ জেলের জীবনই মহাজনের দাদনের ফাঁদে আটকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ ধরার পর ঘাটে এসে প্রায় পুরো টাকাই যায় মহাজনের পকেটে। দাদনের ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে তাই কৃষি ঋণের মত সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ চার জেলেরা।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দারিদ্র্যের শেকলে বাঁধা উপকূলের জেলে জীবন। তাদের একমাত্র আয় উপার্জনের মাধ্যম মাছ শিকার করা। মাছ ধরার জাল, নৌকা, ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন উপকরণ কেনার টাকার অভাবে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত সুদে মহাজনদের কাছে ঋণ নেন তারা।
সমুদ্রে দস্যু আর দুর্যোগের আতঙ্ক কাটিয়ে কিনারে ফিরতে না ফিরতেই পড়তে হয় মহাজনের ঋণের কবলে। শিকার করা মাছ জেলেরা সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে পারে না, দিতে হয় মহাজনের আড়তে, বাজার মূল্যের চেয়ে অনেকটা কম দামে।
নদী–সাগরে মাছ ধরতে জেলেদের সক্ষম করে তুলতে সরকারি যে উদ্যোগ, তা একেবারেই অপ্রতুল বলে দাবি করেন জেলেরা। সরকারি বা অন্যান্য সংস্থার সহায়তা না পেয়ে জেলেরা বাধ্য হন চড়া সুদে দাদন বা ঋণ নিতে।
সরকার কৃষকদের যেভাবে কৃষি ঋণ দেয় সেভাবে জেলেদের মাছ ধরার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করলে দাদনের অভিশাপ থেকে তারা মুক্তি পেত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে চাঁদা, পরিবহন ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিসহ নানা কারণে খুচরা বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যায়। তবে এর সুফল পায়না জেলেরা। বাজারে দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায় ইলিশ।
দাদনের ফাঁদ থেকে মুক্তি না মিললে জেলেদের ভাগ্য বদলের কোন সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। দাদনসহ সব সিন্ডিকেট ভাঙা না হলে ইলিশ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই থেকে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা