তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের ৯০ শতাংশ সেবা ডিজিটাল করা হবে।
পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ চলছে। এ জন্য সরকার একটি ডিজাইন ল্যাব স্থাপন করছে।
এ ল্যাবে ডিজাইন করা প্ল্যাটফর্মের আওতায় স্বাস্থ্য খাতের ৩৪ সেবাকে ৪২ মডিউলে ভাগ করা হবে। এগুলোকে তিন পর্যায়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে ডিজিটাইজ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সমন্বয়করণ ও ডিজাইন ল্যাবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক জানান, একটি সেন্ট্রাল মেডিকেল হেলথ রেকর্ড তৈরির মাধ্যমে এসব এসব সেবা ডিজিটালাইজ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, ইউএসএইড ও ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত এটুআই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) যৌথ আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বলেন, কর্মশালায় ডিজাইন করা ডিজিটাল সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে আরও সহজে এবং দক্ষতার সঙ্গে জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যাবে। এ খাতকে ডিজিটালাইজড করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন সফলতা লাভ করবে।
এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এই কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি এই ডিজিটাল সেবাগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্যবীমাকে যুক্ত করা হলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবে ১২টি গ্রুপের পর্যালোচনায় একটি ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের বিষয় উঠে এসেছে।
এর মাধ্যমে স্মার্ট হেলথ কার্ড, অধিক সংখ্যক রোগীকে সেবা প্রদান, হেলথ রেকর্ড সংরক্ষণ, অনলাইন-অফলাইনের-কলসেন্টারের মাধ্যমে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি, বিভিন্ন ধরণের টীকার তথ্য ও সময় মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রদান, রোগের রিপোর্ট ডেটাবেজে সংরক্ষণের সুযোগ তৈরি হবে।
সেবা প্রদানকারীরাও সাধারণ রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবেন এবং বাংলাদেশের সকল রোগীর ডেটাবেজ তৈরি হবে। একই সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বর্তমান অবকাঠামো ও ডাক্তারদের সাহায্যে পূর্বের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগের অধিক রোগীকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলেও মতামতা দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
ডিজিটাল সার্ভিস রোডম্যাপ-২০২১ কর্মশালায় উঠে আসা পরামর্শ দ্রুত বাস্তবায়নে এটুআইয়ের ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্সিলারেটর টিমের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ আয়োজন করে।
ডিজাইন ল্যাব কর্মশালায় বিএসএমএমইউর ৩০ চিকিৎসক, ৩৮ কর্মকর্তা, ১২ সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল সার্ভিস এনালিস্ট, এটুআইয়ের ছয় কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতারা অংশ নেন।
NB:This post is collected from techshohor
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা