অনলাইন ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে নিজের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মা নাসরীন আক্তারের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ছেলে নাজমুস সাকিব নাবিলকে (২০) হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বাবা ছগির হোসেন বাদী হয়ে নাসরীন আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে সোমবার বিকেলে নরসিংদী শহরের নিরালা নামে আবাসিক হোটেল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামলার বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ‘৩০ মে রাত ৮টায় বাসায় ফিরে ঘরের দরজায় তালা দেখতে পান ছগির হোসেন। পরে নিজের কাছে থাকা তালার অতিরিক্ত চাবি দিয়ে খুলে ঘরে প্রবেশ করে নাবিলকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন নাসরীন আক্তার।
তিনি বলেন, ‘মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাসরীন আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে মানসিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী নিজের সন্তানকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।’
নাসরীন আক্তারকে গ্রেফতারের বিষয়ে ওসি মশিউর রহমান বলেন,‘ সোমবার বিকেলে নরসিংদী শহরের বাজির মোড় এলাকার নিরালা আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে বাবার নাম ও ছবি দেখে পরিচয় শনাক্ত করে দেখা যায় ওই নারীই হলেন নাসরীন আক্তার।’
নরসিংদী সদর থানা পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘নাসরীন আক্তার হোটেলের রেজিস্ট্রারে তার নাম রেহানা আক্তার লিখেছেন। বাবার নাম লিখেছিলেন আবু তাহের এবং মায়ের নাম ফাতেমা জোহরা। ঠিকানা উল্লেখ করেছেন নরসিংদীর মাধবদীর ডৌকাদি গ্রাম।
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোববার (৩০মে) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নাসির আক্তার একাই হোটেলে রাত্রিযাপন করতে আসেন। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, গাজীপুর থেকে তিনি এসেছেন। রাত হয়ে যাওয়ায় হোটেলে থাকতে চান। রেজিস্ট্রারে নাম, ঠিকানা লেখার পর ওই নারীকে হোটেলটির নিচতলার ৬ নম্বর কক্ষ দেওয়া হয়। ওই সময় তিনি একটি পলিথিনের ব্যাগে করে রাতে খাওয়ার জন্য নাশতা সঙ্গে এনেছিলেন। এরপর তিনি আর ওই কক্ষ থেকে বের হননি। সোমবার সকালে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেন হোটেলটির কর্মচারীরা। পরে নরসিংদী মডেল থানায় ঘটনা জানানো হলে দুপুরের দিকে পুলিশ এসে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
আরোও পড়তে পারেন : হৃতিকের বোনের সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন, ঘুমাননি ২৮ দিন