অনলাইন ডেস্ক
এবার চালের মজুত এতটা কমে যাওয়ার জন্য মূলত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভুল নীতি দায়ী। গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ধানের উৎপাদন কম হয়। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী গত আগস্ট মাসে চাল আমদানির অনুমতি দেন। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয় আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করতে পাঁচ মাস সময় নিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে আমদানি শুরু হলেও প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা এল। আমদানি করা চালের বড় একটা অংশ আসার কথা ভারত থেকে। গত সোমবার থেকে দুই দেশের সব স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গুদামে চাল মজুত আছে ১৩ লাখ ১২ হাজার টন। অথচ সর্বনিম্ন ১৫ লাখ টন থাকা উচিত; কারণ, এর নিচে নামলেই বাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। ২০০৮ সালে চালের মজুত কমে গিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টনে নামলে বাজার চড়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে চাল আমদানি নিয়ে সমস্যা হলেও মজুত এতটা কমেনি।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ধানচাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দাম ঠিক করা হয়েছে যথাক্রমে চাল প্রতি কেজি ৪০ ও ধান ২৭ টাকা। সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ধান সাড়ে ৬ লাখ টন ও চাল সাড়ে ১১ লাখ টন। প্রতিবছরই রুটিনমাফিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু তা কখনোই পূরণ হয় না। গত বছর ১৬ দশমিক ৭০ লাখ টন বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু কেনা হলো মাত্র ৯ দশমিক ১০ লাখ টন। অন্যদিকে সাড়ে ৮ লাখ টন আমন ধান ও চালের বিপরীতে কেনা হয়েছে মাত্র ৮৮ হাজার টন।
সে ক্ষেত্রে চলতি বছরের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা যে পূরণ হবে, তার নিশ্চয়তা কী? আসলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা নীতিমালা ঘোষণা এবং লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেই তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেন। আদৌ তা পূরণ হলো কি না, তা দেখার কেউ নেই। জবাবদিহি নেই।
শেষ কথা হলো, সরকারি গুদামে তিন লাখ টন চাল কিংবা পাঁচ লাখ টন (গমসহ) খাদ্যশস্য থাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অবিলম্বে মজুত বাড়াতে হবে, নইলে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে। চলমান মহামারিতে মানুষের আয়–রোজগার কমে গেছে, চালের দাম ইতিমধ্যেই বেড়েছে, আরও বাড়লে মানুষের কষ্ট বেড়ে যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া চলবে না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা