অনলাইন ডেস্ক
বাজারে চিনির চাহিদা চেয়ে সরবরাহ কম দেখিয়ে চিনির বাজার অস্থির করে তুলছে একটি চক্র। যার ফলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। চিনির পাইকারি বাজার গুলোকে কয়েকটি সিন্ডিকেট জিম্মি করে রেখেছে। সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে ।
এদিকে বাজার থেকে অনেকটা উধাও হয়ে গেছে মোড়কজাত চিনি। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না চিনি। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৬থেকে ১২৮ টাকার বেশি দামে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে।
চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ফের অস্থির চিনির বাজার। চিনি আমদানিকারকরা কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। খাতুনগঞ্জে কয়েক দিনের ব্যবধানে মন প্রতি চিনির দাম বেড়েছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) কর্তৃক প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (খোলা) মিলগেটে মূল্য ১১৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (প্যাকেট) মিলগেটে ১১৯ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২১ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়। এ দামে চট্টগ্রামের কোন পাইকারি বা খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে না। তদারকির অভাবে ভোক্তা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোনো প্রভাব পড়ছে না।
তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজের দামে। ভারতীয় পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে প্রবেশের পর থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। গেল সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ কমেছে। পাইকারি বাজারে ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে।
এদিকে সবজি ও মাছ মাংসের দামও চড়া। প্রতি কেজি গরুর মাংস ১০০০ টাকা এবং খাসি ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১৫ থেকে ২২০, কক ৩৫০ ও পাকিস্তানি লেয়ার ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০, কাতলা ৩শ থেকে ৩২০, পাঙাশ ২০০, শিং ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পযর্ন্ত, টেংরা ৪৫০, কই ৫০০ ও চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা ৪শ, সমুদ্রের কোরাল ৫শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের কাঁচা বাজারে সবজির দামের উত্তাপ কমছে না। গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে থাকলেও অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার বেশি। রোববার প্রতি কেজি ঢেঁড়শ ১শ, করলা ১শ, বেগুন ৬০, চিচিঙ্গা ৮০, টমেটো ৬৫, বরবটি ৮০, পটোল ৮০, লতি ৬০, ধুন্দল ৯০, টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের ক্রেতারা বলছেন, চিনি, পেঁয়াজ বা মাছ, মাংস, সবজির বাজারে প্রশাসনের কোনো ধরনের নজরদারি নেই। যার ফলে ব্যবসায়ীরা কিছুদিন পর পর ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান।