অনলাইন ডেস্ক
গতকাল (বুধবার) দিনভর ইভিএমে ভোট শেষে মধ্য রাতের পর ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা। সেই ফলাফল প্রকাশ করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
এই উপ-নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারা মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাত এবং সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।তবে গত ২৫ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় এই নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নাহিদুজ্জামান নিশাদ।
জয়ী হয়ে ৩৩ হাজার ৩২৬ ভোটে জয় নিয়ে সংসদে বসতে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিপন। সংগঠনটির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হচ্ছেন। ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সব কটির ফল আসার পর রিপনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ২,৯৫০, বিকল্প ধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ১,৭৯৬ এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ১,৬৪০ ভোট পেয়েছেন।
সকালে কনকনে শীত আর কঠোর নজরদারীর মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর পর ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি (সব কেন্দ্র) বন্ধ করার ঘটনা সেটাই প্রথম।
আগেরবারের মতই ৯৫২টি বুথে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ভোটারের ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরাসরি নজরদারি করেন নির্বাচন কমিশনাররা। গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন।
এ উপ-নির্বাচনে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার জন্য ১৪৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা