অনলাইন ডেস্ক
খুলনা প্রতিনিধি: এক সময় ছিলেন ইউপি সদস্য। সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়ে নিজের বলয় প্রতিষ্ঠা করেন। পছন্দের ব্যক্তিকে কাজ দিয়ে বাগিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি করে গড়ে তুলেন সম্পদের পাহাড়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে লাগামহীন দুর্নীতি এবং অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা –খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক।
শেখ হাসিনার পতনের পর একে একে দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসছে তার আমলে দায়িত্ব পালন করা এমপি, মন্ত্রী, মেয়রসহ বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। তেমনি একজন খুলনার সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনার এই নেতা মেয়র থাকার সময় লাগামগীন দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ছিল ঠিকাদারী কাজে। করপোরেশনের পছন্দসই ঠিকাদারকে দিয়ে সেই কাজের অংশীদার হয়ে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। আত্মীয়করণ, অহেতুক চাকরিচ্যুত ও স্বজনপ্রীতি ছিল নিয়মিত ঘটনা।
খুলনা কয়লাঘাটে ছয় তলা বাড়ি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। গেল সিটি করপোরেশেন নির্বাচনে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেন তার নয় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, হলফনামার বাইরে অঢেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন তালুকদার খালেক। এর মধ্যে নগরীর সোনাডাঙ্গায় রয়েছে বেসরকারি নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মালিকানা। নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য রূপসা বাইপাস সড়কে কেনেন জমি। এর বাইরে নগরীর কয়লাঘাট এলাকায় তৈরি করেছেন ছয় তলা আলিশান বাড়ি। গেল ৫ আগস্টের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা বাড়িটিতে হামলা করে পুড়িয়ে দেয়। এরপর থেকেই পলাতক রয়েছে তালুকদার খালেক।
করপোরেশেনের কর্মকর্তারা জানালেন, খালেকের দুর্ব্যহারের কারণে অনেকে করপোরেশনে যেতে ভয় পেতেন। লাগামহীন অনিয়ম আর লুটপাট করে করপোরেশনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন খুলনার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি মো. বাবুল হাওলাদার।
এদিকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গেল ১৫ বছরে অর্জন করা তালুকদারের বিপুল সম্পদের তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানালেন দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ। তালুকদার আব্দুল খালেক ২০১৪ সালের পর তিন দফায় টানা ১১ বছর খুলনার সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন।