অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসর’স অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এই হুঁশিয়ারি দেন।
বক্তারা বলেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের শ্রমজীবী, প্রান্তিক কৃষক ও নিম্নআয়ের মানুষ। যে হারে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য বিস্কুট, কেক, জুসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। আর ভোক্তারা ক্রয় ক্ষমতা হারালে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে এরইমধ্যে এ খাতে সরাসরি কাজ করা প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিকের কাজ হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।এসময় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ১৬০টিরও বেশি পণ্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। অনুগ্রহপূর্বক এই মার্কেটটাকে ধ্বংস করে দেবেন না। জন্মের আগেই আমাদেরকে মেরে ফেলবেন না। আজকে ভ্যাট বাড়ালে কিন্তু আগামীকালই আপনার সন্তানের টিফিনের টাকা থেকে ৫টা বেশি নিতে আমরা বাধ্য হব।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ৭ দিন আপনাদের সময় দিয়েছি। এই ৭ দিন আমরা আপনাদের কাছে যাব, আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করব। আপনার কাছে প্রয়োজনে ভিক্ষা চাইব, কিন্তু এরপর আর আপনাদের কাছে যাব না। তখন আমরা রাজপথে নেমেই দাবি আদায় করব। আমরা চাই না সেই পথ বেছে নিতে। আপনারা আমাদের কথা শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন।
আহসান খান চৌধুরী আরো বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সরকার আরোপিত ভ্যাট ও শুল্কের সঙ্গে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে, তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেব। আমরা ব্যবসায়ী, আমাদেরকে পথে নামাবেন না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা