অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৬ ই মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বড় লক্ষীপুর গ্রামের প্রবাসী শাহীন ভুইয়ার স্ত্রী তাসমিয়া ওই গ্রামের আক্তারুজ্জামানকে দিয়ে বাজার খরচ করাতো। এই সুযোগে আক্তারুজ্জামান তাসমিয়াকে উত্যক্ত করতো। শাহীন ভুইয়া দেশে ফেরার পরও সে তাসমিয়াকে উত্যক্ত করত।
২০১৬ সালের ৯ই অক্টোবর আক্তারুজ্জামানকে ঘরে ডেকে আনে তাসমিয়া। এক পর্যায়ে কাঠ দিয়ে আক্তারুজ্জামানকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। রাতে স্বামী স্ত্রী মিলে মরদেহটি ডোবায় ফেলে দেয়। এ নিয়ে নিহতের ভাই আবুল কাসেম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে পুলিশ আক্তারুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া তাসমিয়া ও তার স্বামী এবং দেবরকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় তাসমিয়া ও তার স্বামী শাহীন ভুইয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিচারক দুটি ধারায় তাসমিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্বামীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া মামলা থেকে তাসমিয়ার দেবর মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়।
অন্যদিকে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হওয়া আনোয়ারা বেগম হত্যা মামলায় আল আমিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বিচারক। এছাড়া দুই জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের তেসোরা মার্চ রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভিংলাবাড়িতে প্রতিপক্ষরা আনোয়ারা বেগমকে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মেয়ে উম্মে সালমা অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এ মামলায় আটজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তবে মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি চারজনের মধ্যে নজরুল ও সুলতান মারা যান। এ মামলার অন্যতম আসামি আল আমিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মোস্তাফিজকে খালাস দেয়া হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা