গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, এমনকি পরবর্তী সময়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ এসব কথা বলে একাদশ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় মেননের সমালোচনা করেছেন ১৪ দলের বেশ কয়েকটি শরিক দলের নেতারা। তাঁরা সংসদ থেকে মেনন ও তাঁর দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে মেননের বক্তব্যকে সমর্থনও করেছেন একাধিক নেতা।
শনিবার বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির এক অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত হয়েছি। তার পরও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তীতে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।’
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়েছে। আমরা ভোটের মাধ্যমেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। রাশেদ খান মেনন যা বলেছেন তা উনার ব্যক্তিগত বক্তব্য।’
তরীকত ফেডারশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি বলেন, ‘উনি ও উনার দলের সংসদ সদস্যদের একযোগে পদত্যাগ করা উচিত। উনারা জাতীয় সংসদে থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছেন। ১৪ দলে থেকে এসব কথা বলার আগে উনাদের উচিত ছিল জোট থেকে পদত্যাগ করা। উনার এসব কথার উদ্দেশ্য কী? এসব কথায় তো বিএনপি-জামায়াত লাভবান হবে।’
ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘যাঁরা এই নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের মুখে এমন কথা মানায় না। এসব কথা উনি বলার জন্য বলেছেন। তিনি হয়তো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান। উনি পদত্যাগ করে এসব বললে তখন ঠিক মনে করতাম।’
রাশেদ খান মেননের বক্তব্যর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা এত দিন ধরে যে কথাগুলো বলে আসছিলাম, মেননের বক্তব্যে সে বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি দেখতে পাচ্ছি। উনি নতুন কোনো কথা বলেননি। যাঁরা এর সমালোচনা করছেন তাঁরাও জানেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোট আগের রাতেই হয়ে গেছে। এখন ভোটের অধিকার ফেরতের রাজনীতিই সবার করা উচিত।’
জানতে চাইলে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বরিশালে ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন আরো বলেছেন, ১৪ দলের পক্ষ থেকে আমাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছিল তাদের প্রয়োজনে। তাই মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হয়েছে। আগামীতে আমরা আর নৌকার সঙ্গে থাকব না। হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ব। সেইভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমার মন্ত্রিত্বের জন্য কোনো ক্ষোভ নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে এবং সব সময় বলে যাবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা