অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ গাজায় রাফাহর উত্তরে একটি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইল-মার্কিন সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রমের সময় হামলায় দুই নারী নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য নিতে গিয়ে ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জাবালিয়া শহরও রয়েছে। আল জাজিরার সাংবাদিক মোয়াজ আল-খালাউত জানান, ‘মানুষ গাড়ি ও গাধা নিয়ে এলাকা ছাড়ছে, কিন্তু তাদের কোথায় যেতে হবে তা কেউ জানে না। জ্বালানির অভাবে পরিবহন সংকটও তীব্র।’
ইউএনআরডব্লিউএ’র স্বাস্থ্য দল সতর্ক করে জানিয়েছে, গত চার মাস ধরে ইসরাইলের কঠোর অবরোধের পর গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ২০২৪ সালের পর থেকে স্ক্রিনিং করা প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে গাজায় এই অপুষ্টিকে ‘পরিকল্পিত ও মানবসৃষ্ট’ বলে উল্লেখ করেছে।
এদিকে, গাজায় মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাব্য ১০টি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস জানিয়েছেন, ইসরাইল যদি তার প্রতিশ্রুতি রাখে না, তবে এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ স্থগিত করা ইত্যাদি। তবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য তৈরি হয়নি। ক্যালাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরাইলকে শাস্তি দেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়, বরং গাজায় পরিস্থিতির উন্নতি করাই মূল উদ্দেশ্য।’
গত সপ্তাহে ইসরাইল গাজায় খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ইইউ। ক্যালাস বলেন, ‘সীমান্ত খোলা হয়েছে, বেশি ট্রাক প্রবেশ করছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনও অসহনীয়।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা