অনলাইন ডেস্ক
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান আসামি ইরফান সেলিমের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামি জাহিদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
দুই দফায় রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ইরফানকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন এবং জাহিদের স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আর আসামি ইরফানের পক্ষে আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইরফানের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের এ মামলায় এর আগে গত ১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের এবং এরও আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ইরফান সেলিম ও জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলায় রিমান্ড শেষে ইরফান সেলিমের সহযোগী এবি সিদ্দিকী দিপু এবং হাজী সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান খান কারাগারে আছেন।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি হাজী মহসীনে কর্মরত লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, এবি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মো. মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।