কিছুদিন আগে ফেসবুকে আমাকে ইমপাওয়ার্ড উইমেন হিসাবে উপস্থাপন করে একজন একটি পোস্ট দিয়েছিলেন যেটা ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে আমার সিভি থেকে কিছু লাইন তুলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কিছুটা হতভম্ব এবং অবশ্যই লজ্জিত। আরো অনেকেই আছেন যারা অনেকদূর লেখাপড়া করেছেন বা গবেষণা করেন। আমাকে আলাদা করে দেখার তেমন কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে আমার এক প্রজন্ম আগে আমার মা যেটুকু করেছেন আমি মনে করি ইমপাওয়ার্ড খেতাবটা তার ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রযোজ্য।
১৯৬০ সালে তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষাতে পূর্ব পাকিস্তানে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হন বিজ্ঞান বিভাগে। এরপর ১৯৬২ তে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় সপ্তম হন ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি (ফার্স্ট ক্লাস) এবং এমএসসিতে-তে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট (সর্ব প্রথম মহিলা)। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে যান এরপর থিওরেটিক্যাল পার্টিকল ফিজিক্স এর মতো দাঁত-ভাঙা বিষয়ে (যা আমাকে দিয়ে হতোনা)। পিএইচডি শেষে তাকে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি তে রেখে দেওয়ার জন্য গির্টন কলেজে ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছিল যা তিনি এক বছর পরে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে দেশে ফিরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার জন্য। এর পর বহু বছর সেখানেই পড়িয়েছেন অসংখ ছাত্রদের। শিক্ষকতা করা, গবেষণা করা, দুই মেয়েকে বড় করা, এবং প্রতি বেলা রান্না করা! আমার চোখে আমার মা একজন সত্যিকারের ইমপাওয়ার্ড মানুষ।
উল্লেখ্য, রেবেকা শফির ৯০ এর দশকের একটি বিতর্কের ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশিত হলে সবাই তার প্রোফাইল খোঁজা শুরু করে। পরে, জানা যায় তিনি উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গেছেন এবং সেখানে কর্মরত আছেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা