অনলাইন ডেস্ক
আজ ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস। জাতিসংঘে ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো গণহত্যা প্রতিরোধ ও এ-সংক্রান্ত শাস্তিবিষয়ক একটি প্রথা গ্রহণ করে। তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এ ৯ ডিসেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘ দিবসটি ঘোষণার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিবছর দিনটি পালন করে আসছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বার্তায় বলেছেন, গণহত্যা প্রতিরোধ করা বিশ্ব সমাজের সবার দায়িত্ব। সবার সমতা এবং মানবিক মর্যাদার নীতি রক্ষা করতে এবং সমাজে যে ফাটল ও মেরূকরণ আজ প্রচলিত আছে তা মেরামত করার জন্য হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলার সংস্কৃতির বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং পৃথিবীর কোথাও গণহত্যা হোক, এটা বাংলাদেশ চায় না। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিচার ও উপযুক্ত সাজা নিশ্চিত করা গণহত্যা বন্ধের প্রধান উপায়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আজ (৯ ডিসেম্বর) থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। প্রতিদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠানমালা পরিবেশিত হবে। এর মধ্যে ৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ দিবসে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৫টা থেকে এ অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো; গণহত্যার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং গণহত্যায় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণ ও সম্মান জানানো। দিবসটি জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে স্মরণ করিয়ে দেয়, নিজ জনগণকে গণহত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য দায়িত্ব রাষ্ট্রেরই। গণহত্যার উস্কানি বন্ধ করা ও গণহত্যা ঘটলে তা প্রতিরোধ করা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।