অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত এক যুগে সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করতে তারা বিভিন্নভাবে নিপীড়ন চালিয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে যখন আওয়ামী সরকারের শাসন আমলের বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা- তখন বর্তমান সরকার দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে হিংস্রতা শুরু করেছে। সারা দেশে সরকার ভয়াবহ অত্যাচার ও নিপীড়নের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফখরুল বলেন, ইউনিয়ন সভাপতির বাসায় সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে উপস্থিত হলে সেখানে ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা করে। এতে বিএনপি নেতার পরিবারের অনেক সদস্যসহ দলীয় বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়। এরপর সাংবাদিক সম্মেলন শেষে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় আবারও অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, পুলিশি হামলায় বিএনপি নেতা মোজাদ্দেদ আলী বাবু, যুবদল নেতা মাসুদ আলম স্বাধীন, বিএনপি নেতা হাজী ঈশা খাঁন, দুর্জয় দে কৃষ্ণ, শাহ নেওয়াজ, মো. মাহফুজ, আসলাম রাশিদা বেগম, নার্গিস বেগম, যুবদল নেতা আশরাফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহেল রানাসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত হয়। নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও তাদেরকে আহত করার ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ও কাপুরুষোচিত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এ ধরণের হামলায় আবারও প্রমাণিত হলো-বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কতটা নির্মম, অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী। বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগ এবং পুলিশের হামলা বর্তমান সরকারের নিরবচ্ছিন্ন দুঃশাসনেরই ধারাবাহিকতা। তবে অতীতে যেমন কোনো স্বৈরাচারই দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনি, বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবে না। অচিরেই তাদের পতন হবে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা